ছাদবাগানের আনন্দ: আমার কারি পাতা গাছের গল্প


 প্রিয় গার্ডেনাররা,


আজকে আমি আমার ছাদবাগানের আরেকটি বিশেষ সদস্যের কথা বলতে চাই। এটি হচ্ছে আমার প্রিয় কারি পাতা গাছ। আমি অনেকদিন ধরেই এই গাছটি খুঁজছিলাম, কিন্তু পাচ্ছিলাম না। শেষমেশ নার্সারিতে গিয়ে যখন একটি কারি পাতা গাছ দেখতে পাই, তখন আর দেরি না করে মাত্র ১০০ টাকায় কিনে নিয়ে আসি। এই গাছটি আমার জন্য অনেক মূল্যবান কারণ আগে আমাদের বাড়িতে একটি কারি পাতা গাছ ছিল, কিন্তু বাড়ি তৈরির সময় সেটি কেটে ফেলতে হয়েছিল।


প্রতিদিনের যত্ন:


কারি পাতা গাছটির জন্য আমি প্রতিদিন সময় দেই। মাটির আর্দ্রতা পরীক্ষা করি এবং গাছের শিকড়ের কাছে মাটি আলগা করে দেই যাতে শিকড় ভালোভাবে শ্বাস নিতে পারে। গাছের পাতা ও ডালপালায় কোনো রোগ বা পোকার আক্রমণ হয়েছে কিনা তা লক্ষ্য রাখি।


জৈব সার ও বালাইনাশক:


সপ্তাহে একদিন আমি গাছটিকে জৈব সার দেই, যা গাছের পুষ্টির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও, তিন দিন পর পর আমি জৈব কীটনাশক হিসেবে নিমপাতা দিয়ে তৈরি স্প্রে ব্যবহার করি, যা গাছটিকে বিভিন্ন রোগ ও পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করে।


কারি পাতার ঔষধি গুণ:


কারি পাতা শুধুমাত্র রান্নার মশলা নয়, এটি ঔষধি গুণেও সমৃদ্ধ। এর পাতাগুলো নানা রোগ নিরাময়ে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। আমি সত্যিই আনন্দিত যে, আমি আমার নিজের হাতে এই ঔষধি গাছটির যত্ন নিতে পারছি।


আমার শিক্ষা:


এই গাছটিও আমাকে ধৈর্য এবং পরিচর্যার মূল্য শিখিয়েছে। আমি বুঝেছি যে প্রকৃতি আমাদের সবসময়ই কিছু না কিছু দেয়, যদি আমরা একটু যত্ন নিই।


আপনাদের জন্য:


আপনারাও যদি ঘরে একটি কারি পাতা গাছ রাখতে পারেন, তাহলে এর ঔষধি গুণ এবং রান্নায় স্বাদ বৃদ্ধির সুবিধা নিতে পারবেন। প্রকৃতির এই সবুজের কাছাকাছি থাকুন এবং এর উপকারিতা উপভোগ করুন।


ধন্যবাদ।


মনজুরুল ইসলাম রিফাত

Post a Comment

Previous Post Next Post
Click to Chat